রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:২০ পূর্বাহ্ন
রুহুল আমীন খন্দকার- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের অধীনে বাংলাদেশ পুলিশ-১ শাখায় ৩২ জন কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত ডিআইজি থেকে ডিআইজি পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কৃতিসন্তান সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বুধবার ১১ই মে ২০২২ ইং উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে- সৈয়দ নুরুল ইসলাম ২০তম বিসিএস (পুলিশ ক্যাডার) পাশ করে ২০০১ইং সালে তিনি পুলিশের এএসপি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী থানার সহকারী কমিশনার, রমনা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার, ঢাকার বিশেষ পুলিশ সুপার (এসবি) সহ পুলিশ বিভাগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়াও পুলিশ সুপার পদ মর্যাদায় বাংলাদেশ পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একই সঙ্গে তিনি ময়মনসিংহ জেলা এবং পরবর্তীতে কুমিল্লা জেলায় পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন। সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পুরস্কার সম্মাননা বিপিএম ও পিপিএম (বার) পদক অর্জন করেন সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
এ ছাড়াও সাবেক ছাত্রনেতা, ঢাকাস্থ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্র সমিতির প্রতিষ্ঠাতাও সৈয়দ নুরুল ইসলাম। তিনি ১৯৭১ সালের পহেলা মার্চ শিবগঞ্জ পৌরসভার জালমাছমারি মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা সৈয়দ কসিমুদ্দীন মিয়া ও মাতা সৈয়দা গুলনাহার বেগম। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি পিতা-মাতার চতুর্থ সন্তান। এদিকে রাতে প্রজ্ঞাপন জারির পরপরই চাঁপাইনবাবগঞ্জ’সহ দেশে ও দেশের বাইরের শুভাকাঙ্ক্ষী’সহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষ দোয়া, অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতৃক বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ সম্মাননার ব্যাচেও ভূষিত হয়েছেন। জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে বহুদিন কাজ করেছেন তিনি।এ ছাড়াও সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পুরুস্কার সম্মাননা বিপিএম ও পিপিএম (বার) পদক অর্জন করেন সৈয়দ নুরুল ইসলাম। এমনকি বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ এ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচিত জেনারেল সেক্রেটারীর দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
সৈয়দ নুরুল ইসলাম ছাত্র জীবন থেকেই নিজের চেষ্টায় দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। সর্বদা শুধু নিজের জন্য নয় জীবনের অধিকাংশ সময়টায় তিনি ব্যায় করে যাচ্ছেন সমাজের উন্নয়নের জন্য। যার চিন্তা-চেতনায় থাকে সবসময় মানুষের উন্নয়ন। সেই রকমই একজন দেশপ্রেমিক মানুষ হচ্ছেন, এই “মানবতার ফেরিওয়ালা ও মানবতার সেবক নামে পরিচিত “সৈয়দ নুরুল ইসলাম” তিনি সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে চান মানুষের কল্যাণে।
বিশেষত উত্তর অঞ্চলের রাজশাহী বিভাগ তথা চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন পেশার জাতি-ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে সলকের জন্য তিনি নিবেদিত প্রাণ। তাইতো আজ এই মানুষের প্রতি নিরলস ভালবাসা, ত্যাগ আর দেশপ্রেমের জন্য মানুষের হৃদয়ের গভীরে স্থান করে নেওয়ায় নিজের অজান্তেই উঠে এসেছেন তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে।